তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। সপ্তাহজুড়ে ঘনকুয়াশা আর হিম বাতাসের কারণে হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে এই জেলায়। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এই জেলায় সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. রোকনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রতিবছর শীত এলেই গণমাধ্যমের শিরোনাম হয় হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের কাছাকাছি বাংলাদেশের জেলা পঞ্চগড়। প্রায়ই সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় রেকর্ডের খবর আসে এই জেলায়। এবারও বেশ কয়েকবার কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায়।
এবারের শীত মৌসুম শুরুর পর থেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন পঞ্চগড়ের মানুষ। কয়েকদিন ধরেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পঞ্চগড়। দুপুরের দিকে কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের দেখা মিললেও তা উত্তাপ ছড়াতে পারেনি। তবে এই সময়ে কিছুটা গরম অনুভূত হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকে না। বিকেলের পর থেকে আবারও কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকে হিমেল বাতাস বইতে শুরু করায় মানুষ দ্রুত ঘরে ছুটে আসে।
শীত আর কুয়াশায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। প্রতিনিয়তই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এই বয়সী মানুষ।
শীতের কারণে খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। উপায় না থাকায় জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করেই তাদের ঘরের বাইরে বেরোতে হচ্ছে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টা পেরিয়ে গেলেও সূর্যের দেখা মেলেনি। কুয়াশার দাপটে চারিদিকে ঢাকা আছে।
কুয়াশার দাপট দেখা গেছে সড়ক-মহাসড়কেও। ঘন কুয়াশার কারণে বিভিন্ন সড়কে ধীরগতিতে যান চলাচল করছে। বেশিরভাগ যান হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।